ভূ-বিজ্ঞানীদের চোখে বাংলাদেশ বিস্তৃত পলিমাটিতে ঢাকা এক ভূখন্ড যার উত্তর- পূর্ব, দক্ষিণ- পূর্ব, মধ্য-উত্তর এবং উত্তরাঞ্চলে দেখা মেলে শক্ত প্রস্তরময় প্রাচীন ভূমির। পঞ্চগড় জেলা উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের ভূ- তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন জনপদ। টারসিয়ারী যুগে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের বহু অংশই ডুবে গিয়েছিলো সমুদ্রের প্লাবন আর জলোচ্ছাসে। ফলে বৃহৎ বঙ্গের অনেকটা জায়গাজুড়েই পাওয়া যায় টারসিয়ারী যুগের সমুদ্রজাত পাললিক শিলাস্তর। পঞ্চগড় জেলা সংলগ্ন জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায় টারসিয়ারী যুগের পাথর পাওয়া গেছে। এই সময়ের পাথরের মধ্যে রয়েছে বালি পাথর, চুনা পাথর, কাদা পাথর ইত্যাদি। এই ধরনের পাথর পাওয়া যায় পঞ্চগড় জেলার ভূ-ভাগে। বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহে ভৌগলিক অবস্থিতি অনেকাংশে ভূ-প্রকৃতি এবং বিশেষ করে নদীর স্রোত দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে। পঞ্চগড় জেলার প্রধান পাহাড়ী নদী করতোয়া, ডাহুক, চাওয়াই, মহানন্দা, বর্ষাকালে দু'কুল প্লাবিত করে নিয়ে আসে পাথরের বালি ও নূরী পাথর। পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৫/৬ ফুট মাটির নিচেই পাথর এবং পানিশাল কাঠের সন্ধান পাওয়া যায়। পঞ্চগড় জেলার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা পাথর উত্তোলনের উপর নির্ভরশীল।
পঞ্চগড় জেলায় মোট বালু মহালের সাংখ্যা ১৯টি, আয়তন ৮৭৩.৭৫ একর, পাথর মহাল ২০টি, আয়তন ১৬৫৬.০২ একর, ভাসা কাঠমহালের সংখ্যা ১২টি, আয়তন ১৫৭৮.০৫ একর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস