হিমালয় কণ্যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা হতে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুরত্ব মাত্র ১১ কি.মি.। অক্টোবর মাসে মেঘমুক্ত নীল আকাশে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো হতে মোহনীয় কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য অবলোকন করা সম্ভব। সাধারনত শীতের মেঘমুক্ত আকাশে তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়া রোদে চিকচিক করে ওঠে আর ঠিক তখনই কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই মোহনীয় শোভা উপভোগ করা সম্ভবপর হয়।
এভারেষ্ট চূড়ার সোনালী আলোয় উজ্জল বাংলাদেশের সর্বোত্তরের জনপদ হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ায় আসলে দেখতে পাবেন উত্তর আকাশ হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা ও এভারেষ্ট চূড়া সোনালী আলোয় উজ্জল সুন্দর দৃশ্য। এ সময় আকাস মেঘাছন্ন না থাকায় প্রতিদিন এই সুন্দয্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে নানান পেশাজীবি সহ ভ্রমন পিয়াশু মানুষ। বিশেষ করে প্রতিদিন ভিড় জমছে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মহান্দা নদীর তীর ঘেষা পিকনিক কর্নার সহ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে।
এখান থেকে সু-স্পষ্ট দেখা মিলে হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা ও এভারেষ্ট চূড়ার সুন্দর দৃশ্য। বাংলাবান্ধা হতে নেপালের দূরত্ব ৬১ কি:মি:, এভারেষ্ট চূড়া ৭৫ কি:মি:, ভূটান ৬৪ কি:মি:, চিন ২০০ কি:মি:, ভারতের দারজিলিং ৫৪ কি:মি:, ভারতের শিলিগুড়ী ৮ কি:মি:, ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘা ১০ কি:মি:।
তেঁতুলিয়ায় আসলে ভালো ভাবে দেখা যাবে হিমালয় কাঞ্চনজঙ্ঘা ও এভারেষ্ট চূড়ার প্রাকৃতিক সুন্দর দৃশ্য যা সকাল, , দুপুর, বিকেল ও রাতের বেলা বিভিন্ন রুপ ধারন করে, পাশাপাশি আপনি উপভোক করতে পারবেন এ জেলার নয়নাভীরাম সৌন্দর্য। প্রকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এই জেলাকে ঘিড়ে গড়ে ওঠেছে ছোট-বড় অনেক চা বাগান এবং পিকনিক র্কনার। যা নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। তাইতো শীত এলেই প্রকৃতি প্রেমিরা ভীর জমায় পঞ্চগড়ে। আর উপভোগ করে মনমুগ্ধকর সব প্রকৃতি। আর এমন দৃশ্য যে কেউ দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে যেখানকার নয়নাভীরাম সৌন্দর্য আপনার মন কারবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস